শিকদার শামীম আলমামুন, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে এক পাষণ্ড স্বামী। ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে এমনটা ঘটেছে। রোববার (৮ মে) ভোর ৫টায় স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। হত্যাকাণ্ডের পর পাষাণ স্বামী রুবেল (৪৫) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাঁচুরিয়া এলাকায় আত্মহত্যার জন্য মহাসড়কে শুয়ে পড়েছিলো তবে স্থানীয়রা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় নিহত লাভলী আক্তারের ভাই মো. আলম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহতরা হলেন-রুবেলের স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৫) বড় মেয়ে বানিয়াজুরী সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছোঁয়া আক্তার (১৬) ও ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কথা আক্তার (১২)। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাস্পাতালে পাঠিয়েছে। এমন নৃশংস ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, আঙ্গারপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আসাদুর রহমান রুবেল (৪৫) গতকাল ভোর রাতের কোনো এক সময় তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করে। ঘাতক রুবেল উপজেলার বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ডে দন্ত চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিলেন। ইতিমধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রুবেল ও লাভলীর ভালোবাসার বিয়ে, দীর্ঘদিন যাবত তারা সুখে শান্তিতে সংসার করে আসছিলেন তারা। ১৫ বছর ধরে রুবেল একই গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছেন। কিন্তু বেশ কিছু ধরে ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পারিবারিক কলহ বাড়তে থাকে। গতকাল রাতে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
বালিয়াখোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল খান বলেন, রুবেল অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এমন ঘটিয়েছে হয়তো।